হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, তাওনির কোম্পানির সাংস্কৃতিক ও ভার্চুয়াল স্পেস বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত হুজ্জাতুল ইসলাম রেজা কাকাওয়ন্দ হাওজা নিউজ এজেন্সি পরিদর্শনের সময় সম্পাদক ও বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে এক বৈঠকে দেশের পানি ও বিদ্যুৎ শিল্পের কম আলোচিত বাস্তবতা ও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন: আপনি যদি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল-পাহাড়ের গভীর থেকে মরুভূমি পর্যন্ত-নজর দেন, দেখবেন পানি ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক সেবা প্রদান করা হয়েছে, কিন্তু এসব সম্পর্কে খুব কম প্রচার হয়।
সাংস্কৃতিক ও ভার্চুয়াল স্পেস বিষয়ক এই দায়িত্বশীল কর্মকর্তা যোগ করেন: বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে আমাদের এমন শহীদরাও আছেন, যারা জনগণের সেবার পথে প্রাণ দিয়েছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষ এই ত্যাগ-তিতিক্ষা ও শহীদত্ব সম্পর্কে অবগত নয়। এমনকি অনেক অপারেটর দায়িত্ব পালনকালে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন এবং কেউ কেউ হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই প্রাণ হারিয়েছেন।
দেশের বিদ্যুৎ শিল্পে মেধাবীদের উপস্থিতি
তিনি আরও বলেন: বিদ্যুৎ শিল্পে অত্যন্ত উচ্চমানের বিশেষজ্ঞ ও মেধাবীরা কাজ করেন; কিন্তু এই উচ্চমাত্রার দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও গত চার দশক ধরে আমরা গণমাধ্যমের নানা আক্রমণের মুখে পড়েছি।
গণমাধ্যম-‘জিহাদ-এ তাবয়িন’-এর সবচেয়ে কার্যকর অস্ত্র
হুজ্জাতুল ইসলাম কাকাওয়ন্দ গণমাধ্যমকে জিহাদ-এ-তাবয়িন (সত্য ব্যাখ্যার সংগ্রাম)-এর সবচেয়ে কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে বর্ণনা করে বলেন: হাওজার সরকারি সংবাদসংস্থায় খবর প্রকাশিত হলে হাওজা-সমাজে প্রশান্তি আসে, কারণ তারা জানে এই সংস্থার খবর নির্ভরযোগ্য ও সত্যনিষ্ঠ।
তিনি বলেন, হাওজা-সম্পর্কিত সাম্প্রতিক বহু সাফল্য সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যম কার্যক্রমের ফল-এবং সঠিক সংবাদ পরিবেশন ও জনগণের আস্থার ফলাফল।
তিনি যোগ করেন: হাওজা নিউজ এজেন্সির কার্যক্রম অত্যন্ত প্রভাবশালী।
পদ্ধতিগত ও লক্ষ্যভিত্তিক কনটেন্ট উৎপাদনের দিকে অগ্রসর হওয়া
হুজ্জাতুল ইসলাম কাকাওয়ন্দ বলেন: আমরা নতুন এক পর্যায়ে প্রবেশ করেছি, যার কেন্দ্র হলো সুনির্দিষ্ট, লক্ষ্যভিত্তিক ও সঠিক কনটেন্ট তৈরি করা—যাতে আল্লাহর বার্তা ও ইসলামী শিক্ষাকে সঠিকভাবে জনগণের নিকট পৌঁছানো যায়। আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.) এই বার্তা ঘোষণা করেছেন; তাই যে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এই পথে তার সক্ষমতা ব্যবহার করতে হবে।
ভার্চুয়াল স্পেসই গণমাধ্যম যুদ্ধের প্রধান ময়দান
তাওনির কোম্পানির এই কর্মকর্তা বলেন: গণমাধ্যমের শক্তি এত বেশি যে এটি আমাদের বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের ওপরও প্রভাব ফেলে। এটি গণমাধ্যমের বর্ণনা-সৃষ্টিকারী ক্ষমতার প্রমাণ।
গণমাধ্যম বাস্তবতাও বদলে দিতে পারে
তিনি স্পষ্ট করে বলেন: বর্তমান অনেক সমস্যার মূল কারণ হলো গণমাধ্যমক্ষেত্রে দুর্বলতা। ইসলামের ইতিহাসও এই ক্ষতি থেকে মুক্ত নয়; আমিরুল মুমিনীন আলী (আ.) গণমাধ্যমের শিকার হন; ইমাম হুসাইন (আ.)-এর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো ৩০ হাজার সৈন্য ছিল সেই সময়ের শত্রুর গণমাধ্যম-অভিযানের ফল।
হুজ্জাতুল ইসলাম কাকাওয়ন্দ বলেন: গণমাধ্যম ক্ষেত্রে যত বেশি চেষ্টা ও উপস্থিতি থাকবে, তত বেশি মূল্যবান। সমাজকে সচেতন করতে যে প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া হয়-তা ঠিক তেমনই, যেমন শহীদ হাজী কাসেম সোলাইমানি শত্রুর দিকে বুলেট ছুঁড়তেন। আজকের আসল বুলেট হলো-গণমাধ্যম, যা সরাসরি আমাদের জনগণের মন ও চিন্তাকে প্রভাবিত করে।
নরম যুদ্ধের ময়দানে গণমাধ্যম-এক শক্তিশালী অস্ত্র
তিনি বলেন: যদি শক্তিশালী গণমাধ্যম থাকে, তবে আশির দশকের পরে জন্ম নেওয়া প্রজন্মের প্রতিটি যুবকও শহীদ বেনাম মোহাম্মাদির মতো প্রভাবশালী ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি যোগ করেন: এই প্রজন্মের মধ্যে সচেতন ও প্রভাবশালী সৈনিক হয়ে ওঠার বিশাল সক্ষমতা রয়েছে-যদি কেবল গণমাধ্যম শক্তিশালী হয়।
আপনার কমেন্ট